
নিজস্ব প্রতিবেদন: তিনি মদন মিত্র। রাজ্যের বহু তরুণ তরুণীরা তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত হয়ে গিয়েছে। সদা সর্বদা রঙিন মেজাজেই থাকতে দেখা যায় তৃণমূলের এই দোর্দন্ডপ্রতাপ মন্ত্রীকে। কিন্তু কখনোই তাঁকে মেজাজ হারাতে দেখা যায়নি।
তিনি সর্বদাই শান্ত , সংযত থাকেন। তবে তাঁকে আরো জনপ্রিয়তা দিয়েছে তাঁর একের পর এক ফেসবুক লাইভ। ফেসবুক লাইভে পরিপাটি পোশাকে তাঁকে প্রায়শই নানান বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায়। সুসজ্জিত পোশাকের পাশাপাশি তার সানগ্লাসও হল অন্যতম একটি ফ্যাশান।
অনুরাগীদের মতো এখনও তাঁর মনে বসন্তের ছোঁয়া রয়েছে। ফেসবুক লাইভে কখনো গান আবার কখনো আবৃত্তিতে ডুবে থাকেন মদন মিত্র। কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করতেও দেখা যায় তাঁকে। গত ১৭ ই মে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি।
জেলেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে কাটিয়েছেন বেশ কয়েকদিন। নারদা মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছেন চার হেভিওয়েট। মদন মিত্র জামিন পেয়েই আবার ফিরেছেন স্বমহিমায়।আজ জামাইষষ্ঠীতে তিনি তাঁর অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন।
আরও পড়ুন-জামাইষষ্ঠীর দিন শোভন চট্টোপাধ্যায়কে উচ্ছেদের নোটিশ পাঠালেন তার শ্যালক
তিনি বলেছেন, “আমি বিয়ের পর প্রথম শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিলাম একবার। আমার মা বলেছিলেন প্রথমবার শ্বশুরবাড়ি যদি না যাই তাহলে অমঙ্গল হবে। ওই একবারই শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলাম। তারপর জামাইষষ্ঠীর দিন কোনদিন যাইনি ।
যারা নতুন বিয়ে করেছেন তাদের কাছে এই দিনটায় একটা নতুনত্ব রয়েছে কিন্তু আমার আর কোনো নতুনত্ব নেই। তবুও প্রতি বছর এই দিনে আমার নতুন করে বিয়ে করতে ইচ্ছা করে, আবার আমার জামাই সাজতে ইচ্ছা করে। প্রতিবছর আজকের দিনে টিফিন বক্স করে শ্বশুরবাড়ি থেকে আমার জন্য খাবার আনা হয়। কেউ যদি আমাকে জামাইষষ্ঠীতে খাওয়ার নিমন্ত্রণ করে তাহলে আমি সেখানে অবশ্যই যাবো।
আরও পড়ুন-“আঙ্কেল জি, দয়া করে আর ফিরবেন না”- রাজ্যপাল কে কটাক্ষ করলেন মহুয়া মৈত্র
জামাইষষ্ঠীতে গেলে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের মুখে হাসি ফোটাতে পারতাম, কিন্তু ত্রাণ নিয়ে গেলে প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। সেটাই আমার কাছে অধিক আনন্দের। বর্তমানে বাংলায় অনেক জামাই আছে, কিন্তু আমার মতো প্রতিদিন জামাই সাজার সৌভাগ্য কারো নেই।”প্রসঙ্গত আজ ত্রাণ নিয়ে গোসাবা যাবেন মদন মিত্র।
সেখানে তিনি ইয়াস দূর্গতদের হাতে তুলে দেবেন ত্রাণ।