নিজস্ব প্রতিবেদন: আলাপন বিতর্ক যেন উত্তরোত্তর আরো চাঙ্গা হয়ে উঠছে রাজ্যের বুকে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে হঠাৎ বদলি করতে চেয়ে রাজ্যকে নোটিশ পাঠিয়েছিলো কেন্দ্রীয় সরকার। করোনার এই আবহে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলি করার চেষ্টা করে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে কেন্দ্রীয় সরকার এমনটাই অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
এর পরেই মুখ্যসচিব পদ থেকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবসর দিয়ে সরিয়ে আগামী ৩ বছর মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছিলো কেন্দ্রীয় সরকার। ইয়াস পরবর্তী পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে কেন উপস্থিত হননি রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়
আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় সরকারের শো কজের চিঠির উত্তর দিতে চলেছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়
তার জবাব জানতে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ৫১ বি’র আওতায় শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।এই নোটিশের জবাব দিয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আলাপন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন লাগু করা দরকার।
ভারতে যখন দৈনিক প্রায় সাড়ে চার হাজার লোক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছিলেন, তখন কেন্দ্রীয় নেতারা এসে ৫০ হাজার মানুষদের নিয়ে রোড শো করছিলেন , তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আগে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন লাগু করা প্রয়োজন।যদি কেন্দ্র নিরপেক্ষ থাকে তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিক আর আমাকেও চিঠি দিক। প্রাক্তন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বে আজ বিধ্বস্ত অঞ্চলে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা হচ্ছিল ।
আরও পড়ুন-“আলাপন বাঙালি , কিন্তু দময়ন্তী সেন কি বহিরাগত ছিলেন?”- মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্নবান সোশ্যাল মিডিয়ায়
তাছাড়া উনার নেতৃত্বে রাজ্যে করোনার সাথেও লড়াই জারি ছিলো। বিচক্ষণ আলাপন বাবু উক্ত কাজগুলোতে সামনের সারিতে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। রাজ্যের এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তাকে তলব করা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকৃতই অন্যায় হয়েছে বলে আমি মনে করি।”আজ সুন্দরবনে ইয়াসের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত সন্দেশখালি এবং পাথরপ্রতিমাতে পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।