
নিজস্ব প্রতিবেদন :-প্রতিনিয়ত বর্ষার কবলে পড়ে রীতিমতো নাজেহাল অবস্থা হয়ে গিয়েছিল রাজ্যবাসীর ।এমতাবস্থায় কিভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছিনা সকলে ।আমরা দেখেছিলাম এক নাগাড়ে একটানা বৃষ্টির ফলে রীতিমতো রাজ্যের কি বেহাল দশা হয়েছিল । প্রশ্ন উঠেছিল প্রশাসনের বিরুদ্ধে জল নিকাশি ব্যবস্থা শহরে কেন ভালো নেই সে ব্যাপারে উঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন ।সেই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে না উঠতে আরো একবার নিম্নচাপের পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর । এবং এর ফলে সারাবাংলা আবার বৃষ্টিতে ভিজতে চলেছে বললে খুব একটা ভুল হবেনা ।
মৌসুমী অক্ষরেখার স্থান পরিবর্তন এবং প্রচুর পরিমাণে জলীয়বাষ্প প্রবেশ করার জন্য বঙ্গোপসাগরের একটি ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয়েছে । যে ঘূর্ণবাত পরবর্তী ক্ষেত্রে নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর । তবে বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ দক্ষিণবঙ্গ নয় গোটা বাংলাদেশ বৃষ্টির প্রভাব দেখা যাবে বলে জানা যাচ্ছে ।আগামী তিন দিন মৌসুমী অক্ষরেখার কোন রকম পরিবর্তন হবে না বলেই মনে করছে আবহাওয়া দফতর। বর্তমানে মৌসুমি অক্ষরেখা অবস্থান করছে অনুপগড়, হিসার, মিরাট, হরদই, বারানসী, জামশেদপুর. বালাসোর হয়ে পূর্ব দক্ষিণ পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
৮ ই সেপ্টেম্বর সকাল থেকেই আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে শুরু হতে চলেছে ভারী বৃষ্টিপাত। আগামী ২৪ ঘন্টায় তাপমাত্রার খুব একটা পরিবর্তন হবে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে তার পর থেকে খুব সামান্য তাপমাত্রার পরিবর্তন হতে পারে।আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ২৪ ঘন্টা বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর কলকাতা এবং তার সংলগ্ন এলাকা তে এক বৃষ্টিপাতের প্রভাব দেখা যাবে বলে জানা যাচ্ছে ।
আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হলেও হতে পারে ।উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরী হতে চলেছে নিম্নচাপ। আবহাওয়া দফতরের সুত্রে, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাবার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। মৌসুমি অক্ষরেখা নিজের স্থান পাল্টে এখন স্বাভাবিক অবস্থানের দক্ষিণে রয়েছে।