
নিজস্ব প্রতিবেদন: পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে আগামী ১৫ ই আগস্ট পর্যন্ত জারি রয়েছে নানান বিধি নিষেধ। রাত ৯ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত নাইট কার্ফু জারি রয়েছে। কিন্তু এখনও বাংলায় বহু মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে উঠছে না। নাইট কার্ফু অমান্য করে বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে দেদার পার্টি চলছে , হৈ হুল্লোর চলছে, আড্ডা চলছে।
নাইট কার্ফুতে এই ঢিলেমি কিছুতেই বরদাস্ত করতে রাজী নয় রাজ্য। তাই এবার কড়া মুডে নেমেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী রাজ্যের প্রতিটি জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন যে যাতে অত্যন্ত কড়াভাবে জনগণ এই নাইট কার্ফু মেনে চলে সেই দিকটি পর্যবেক্ষণ করতে হবে। রাত ৯ টা থেকে ভোর ৫ টা পর্যন্ত সমস্ত কিছু বন্ধ রাখতে হবে।
আরও পড়ুন-দিল্লিতে মুকুল রায়ের বাড়ি কুক্ষিগত রাখতে তৎপর হল তৃণমূল।
মুখ্য সচিব নির্দেশ দিয়েছেন যে, যে সমস্ত জায়গার মানুষজন বিধিনিষেধ মানছেন না, তাদের কড়া শাস্তি দিতে হবে। নাইট কার্ফু অমান্য করলে মোটা টাকা জরিমানা এবং হাজতবাস দুই’ই করতে হতে পারে।এদিকে রাজ্য বিজেপির ইচ্ছা পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার উদ্যোগে আলাদা আলাদা করে রাজ্যবাসীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হোক। এই মর্মে সংসদের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে।
বিজেপি জানিয়েছে যে কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের অধীনস্থ কোন সংস্থা অথবা বিভিন্ন রেল হাসপাতালের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হোক। বিজেপি নেতৃত্বরা অনেক আগেই অভিযোগ করেছেন যে পশ্চিমবঙ্গের ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূল। যার জন্য এবার এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে চলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনিতেই বর্তমানে সংসদের বাদল অধিবেশন চলছে যার জন্য তৃণমূল এবং বিজেপির সাংসদদের সকলেই প্রায় দিল্লিতে অবস্থান করছেন।
ভ্যাকসিন ইস্যুতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর সাথে আলোচনা সেরেছেন বিজেপি সাংসদরা। সাংসদরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎ করার জন্য অনুমতি চেয়েছেন। কিন্তু এখনো প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে তাদেরকে সময় দেওয়া হয়নি।তবে বিজেপির মধ্যেই অনেক নেতা বলেছেন যে রাজ্য নেতৃত্বে এই দাবি মেনে নাও নিতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
কারণ বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার সারাদেশে ব্যবসায় নীতি গ্রহণ করেছে। এবার যদি সমগ্র দেশে আলাদা আলাদা ভ্যাকসিন দিতে হয় তাহলে রাজ্যের বিরোধীদের সাথে প্রত্যক্ষ বিরোধের সৃষ্টি হবে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার, রাজ্য বিজেপির এই দাবি মেনে নেবে না বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্বরা।