
নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটে বারবার সিপিএম সংগঠন, বিজেপি এবং তৃণমূল এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে এই দুই দলকে কটাক্ষ করে ‘বিজেমূল’ বলে সম্বোধন করেছিলো। বুট পরবর্তীকালে সিপিএম নেতৃত্বের কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে যে এই বিজেমূল তত্ত্ব টি প্রচার করা তাদের খুবই ভুল হয়েছে। এমনকি কয়েকদিন আগেই সিপিএমের নোটে লেখা হয়েছে যে এই বিজেমূল তত্ত্ব টি সম্পূর্ণ ভুল। কিন্তু এই বিজেমূল তত্ত্ব নিয়ে যথেষ্ট সংশয়ে পড়েছে সিপিএম।
সিপিএমের নোটে লেখা হয়েছিল যে, “বিজেপি , এবং অন্য কোনো রাজনৈতিক দল কখনই এক হতে পারে না। বিজেপি পরিচালিত হয় ফ্যাসিবাদী শক্তি আরএসএস এর দ্বারা । নির্বাচনের সময় বিভ্রান্তিমূলক ভাবে প্রচার করা হয়েছিল যে বিজেপি এবং তৃণমূল সমান। কিন্তু এর জন্য বেশ কিছু বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।”
কিন্তু এই নোটের পরেই মুজাফফর আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষে বিজেমূল নিয়ে অনেকটাই সংশয়ে পড়লেন সিপিএম নেতারা। উক্ত দিন সেমিনারে উপস্থিত হয়ে সূর্যকান্ত মিশ্র বার্তা দিয়েছেন যে, “জাতীয় স্তরে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৃণমূলকে পাশে চাইছে বাম সংগঠনগুলি। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে গেলে এবার তৃণমূলকে অবশ্যই সাথে নিতে হবে। গোটা দেশে বিরোধী শক্তি গুলির মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা এলে অনেকটাই সুবিধা হবে এই লড়াইয়ে।
রাজ্যের থেকে দিল্লির ক্ষমতা অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। তাই বিজেপিকে দিল্লি থেকে হটিয়ে দিতে পারলে আমাদের লড়াই আরো সহজ হবে। তারপরেই সমস্ত রাজ্যে রাজ্যে লড়াইয়ে আমরা অবতীর্ণ হবো। রাজ্যে আমাদের যা নীতি ছিলো, সেটা অপরিবর্তিত থাকবে।
আরও পড়ুন-“বিজেপির সাথে লড়াইয়ে তৃণমূলকে পাশে দরকার”- স্পষ্ট বার্তা দিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র
বাংলায় আমরা বিজেপি আর তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবো।”সূর্যকান্ত মিশ্র বার্তা দেওয়ার পরেই উক্ত সেমিনারে মহম্মদ সেলিম আবার তৃণমূল এবং বিজেপিকে একই লাইনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। তিনি ওই সেমিনারে বলেছেন, “বিজেমূল টিজেমূল এরা সবাই খারাপ। নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই-ইডি তৈরি হয়ে আমাদের রাজ্যে মিশ্র রাজনীতি হচ্ছে এটা সকলেই জানেন।
আমরা কংশাল সম্বন্ধেও জানি । কিন্তু কংগ্রেস ও নকশাল কি এক হয়ে গিয়েছে?”অর্থাৎ এই বিজেমূল তত্ত্ব নিয়ে কার্যত নিজেরাই দোলাচলে ভুগছেন সিপিএম নেতৃত্বরা।