নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের মাটিতে স্বচ্ছ এবং অবাধ নির্বাচন করতে প্রথম থেকেই সচেষ্ট নির্বাচন কমিশন। কিন্তু নির্বাচনের প্রথম দফার শান্তিপূর্ণভাবে মিটলেও দ্বিতীয় দফা থেকেই রাজ্যের সর্বত্র হিংসা হানাহানি ঘটনা ঘটছে। কোচবিহারের শীতলকুচি তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ গিয়েছে ৪ জনের। এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে কাজ করছে, বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনী কে কাজে লাগিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোট আদায় করছে। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের দায়ে ২৪ ঘন্টা মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা নিষিদ্ধ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
জানা গিয়েছে গতকাল সোমবার রাত আটটা থেকে আজ মঙ্গলবার রাত আটটা পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের জনসভা নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ দুপুরে তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিত এর সমর্থনে বারাসাতে সভা করার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। এই সভা হবে আজ রাত সাড়ে আটটায়।
তার পরই তিনি বিধান নগরে গিয়ে রাত ন’টা নাগাদ তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসুর সমর্থনে সভায় অংশগ্রহণ করবেন।নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আজ বেলা ১২ টা থেকে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি টুইটারে লিখেছেন ,”নির্বাচন কমিশনের অসাংবিধানিক এবং অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আজ বেলা ১২ টায় গান্ধী মূর্তির নীচে আমরা ধর্নায় বসতে চলেছি ।”