
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংশোধনী বিলের প্রবল বিরোধিতা জানিয়ে আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।জানা গেছে গত বছর বিরোধীদলের প্রবল আপত্তির ফলে এই বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু আবার এই বিল পেশ করার বিষয়ে সক্রিয়তা দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার এদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই এই বিদ্যুৎ সংশোধনী বিল কে জনবিরোধী আখ্যা দিয়েছেন।মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন এই বিল পাস করার ফলে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে রাজ্যের কোন নিয়ন্ত্রন জারি থাকবে না।
এটা গণতন্ত্রের পক্ষে অত্যন্ত অবমাননাকর। মুখ্যমন্ত্রী এই মর্মে বলেছেন,”গতবছর আমি চিঠি লিখে ওই বিতর্কিত বিলের বিতর্কিত বিষয়গুলি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপিত করেছিলাম।”নতুন বিদ্যুৎ বিলের খসড়ায় বলা হয়েছে যে, বিদ্যুৎ বিলের সমস্ত টাকা গ্রাহকদের প্রথমে অবশ্যই দিতে হবে। এরপর তারা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে তাদের ভর্তুকির টাকা পেয়ে যাবেন।
কিন্তু এই খসড়া বিল কে প্রবল জনবিরোধী আখ্যা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন যে অনেক টাকার বিল আসলে মধ্যবিত্ত মানুষ গুলি চট করে সেই বিল মেটাতে পারবে না। এর ফলে প্রান্তিক শ্রেণীর বহু মানুষের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তাব দিয়েছে যে বিদ্যুৎ পরিবহন থেকে শুরু করে বিভিন্ন আইনি বিষয় গুলি সম্পাদন করার জন্য একটি আলাদা সংস্থা তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন-বেফাঁস মন্তব্যের জেরে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সফর বাতিল হল মুকুল রায়ের।
কিন্তু এই সংস্থা গঠন হলে রাজ্যের যে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাগুলি রয়েছে, তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহে ততটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সাথে তিনি জানিয়েছেন যে নতুন বিদ্যুৎ আইন চালু হলে বিদ্যুতের মূল্য ইউনিট প্রতি অনেকটাই বেড়ে যাবে। যার ফলে যথেষ্ট সংকটজনক পরিস্থিতির পড়বেন মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তরা।