
নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটে যেখানে গ্ল্যামার মুখের জয়জয়কার সর্বত্র। সেখানে এক হতদরিদ্র পরিবারের ছাপোষা গৃহবধূ সকলের নজর কেড়েছেন। শালতোড়ার বিজেপি প্রার্থী চন্দনা বাউড়িকে ঢেলে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন শালতোড়ার মানুষজন। নুন আনতে পান্তা ফুরোয় সংসারে সংগ্রাম করেও চন্দনা বাউড়ির স্বপ্ন ছিলো তিনি সমাজের কল্যাণে কিছু করবেন।
সুযোগও ধরা দিয়েছে তার কাছে। শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক তিনি। তাঁকে ঘিরে এলাকাবাসীর বহু আশা-আকাঙ্ক্ষা জড়িয়ে রয়েছে। দরিদ্র এই গৃহবধূ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে দাঁড়িয়েও তার এলাকার মানুষের কল্যাণার্থে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রন জানালেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
বিধায়ক পদে আসীন হয়েই তিনি ব্রতী হয়েছেন এলাকার জল সংকট দূর করার জন্য , খারাপ রাস্তা মেরামত করার জন্য, নতুন রাস্তা তৈরি করার জন্য, এলাকায় স্কুল তৈরি করার জন্য। এছাড়াও চরম দারিদ্র্যের মধ্যেও তিনি তার দেহরক্ষী অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিজেই রান্না করে খাইয়েছিলেন।এ হেন সেই ছাপোষা গৃহবধূ তথা বিজেপি বিধায়ক এবার রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। রাজ্যে মহিলাদের উপরে ভোট পরবর্তী নির্যাতন এবং বাংলার মাটিতে পরপর হিংসাত্মক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে বাঁকুড়া জেলার বিজেপি মহিলা মোর্চা কে সাথে নিয়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন চন্দনা বাউড়ি।
আরও পড়ুন-এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে হেঁটে ত্রিপুরা, অসমে শাখাবিস্তারের পথে আইএসএফ
তিনি রাজ্য সরকারের প্রতি আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন,”ভোট-পরবর্তী হিংসাত্মক পরিস্থিতি এখনো জারি রয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী কিছুই দেখতে পাচ্ছেন না, তিনি কিছুই করছেন না। এখনো পর্যন্ত আমাদের বহু কর্মী-সমর্থক বাড়িছাড়া হয়ে রয়েছেন। তাদেরকে নিরন্তর হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
এই অত্যাচার বন্ধ না হলে আগামী দিনে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।”