
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির সাথে দীর্ঘ চার বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে আবার পুরনো ঘর তৃণমূলের প্রত্যাবর্তন করেছেন মুকুল রায়। কিন্তু খাতায়-কলমে তিনি এখনও কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক পদে আসীন রয়েছেন। সেই সাথে মুকুল রায়কে বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান পদে আসীন করা হয়েছে। এর ফলে বিজেপি যথেষ্ট বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
ইতিমধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশে বিধানসভার অন্যান্য কমিটি গুলি থেকে পদত্যাগ করেছেন বিজেপির বিধায়করা। শুভেন্দু বারবার মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ আইন প্রয়োগ করার কথা বলেছেন। তিনি অবিলম্বে এই দলত্যাগ আইন মুকুলের বিরুদ্ধে লাগু কলার উদ্দেশ্যে আদালতে যাওয়ার কথাও বলেছিলেন।এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার নির্দেশ দিয়েছে যে, দিল্লির সাউথ অ্যাভিনিউয়ের ৮১ নম্বর বাংলোটি অবিলম্বে মুকুল রায়কে ছেড়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন-অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে দুবরাজপুরে পদত্যাগ করলেন তিন পঞ্চায়েত প্রধান
দীর্ঘ দশ বছরেরও বেশী সময় ধরে দিল্লির এই বাড়িতে এসে ওঠেন মুকুল রায়। দিল্লিতে কর্মসূচি থাকাকালীন তিনি এই বাড়িতেই থাকেন। এই বাড়িতে থাকাকালীন তিনি তৃণমূলের সাথে সম্পর্ক শেষ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।এদিকে আজ কৃষ্ণনগর উত্তরে গিয়েছিলেন বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়।
আরও পড়ুন-সংসদ উন্নয়ন তহবিল থেকে বরাদ্দের ঘোষণা করলেন বাবুল সুপ্রিয়।
সেখানে গিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমের কাছে একটি বেফাঁস মন্তব্য করে ফেলেছেন, যার ভিডিও অত্যন্ত ভাইরাল হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।তিনি বেফাঁস মন্তব্য করেছেন যে, “উপনির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টিতে যাবে আর তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবি হবে। স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন করবে বিজেপি।” কিন্তু এর পরেই তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি চরম ভুল করে ফেলেছেন, তার পরেই তিনি তার বক্তব্য শুধরে নিয়ে বলেন, “উপ নির্বাচনে বিজেপির আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না।
তৃণমূল কংগ্রেস স্বমহিমায় প্রত্যাবর্তন করবে।”কিন্তু তিনি যা বলে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে উঠেছে। সেই সাথে নেটিজেনরা যথেষ্ট কটাক্ষ শুরু করেছেন মুকুল রায় কে।