
নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমানে বাংলার রাজনৈতিক পটভূমিতে কান পাতলেই শুধুমাত্র শোনা যাচ্ছে বিজেপি-তৃণমূলের দ্বৈরথ। রাজ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে বারবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একুশের ভোটের পর থেকেই বাংলার মাটি রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন হিংসাত্মক ঘটনাকে কেন্দ্র করে। রাজ্যের এই হিংসাত্মক পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল যাতে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যায়।
রাজ্যের এই হিংসাত্মক পরিস্থিতির অভিযোগে রাজ্যপালের কাছে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন বিজেপির মোট ৫০ জন বিধায়ক। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজ্যপালের সাথে দেখা করেছেন তারা। তারপরেই রাজ্যপাল দিল্লি গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন-তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে সাক্ষাৎ করে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসাত্মক পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল । এই পরিপেক্ষিতে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা সুখেন্দু শেখর রায় । তিনি বলেছেন,”বিজেপি নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর বাংলায় অন্ধকার যুগ কায়েম করার চেষ্টা করছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ করছি। বাংলার মানুষকে আমরা এই ব্যাপারে সজাগ করছি।
যারা ঘরছাড়া হয়েছিলেন তাদেরকে আমাদের দলের নেতারাই আবার ফিরিয়ে এনেছেন সুরক্ষিতভাবে এই বিষয়টি আপনারা সংবাদমাধ্যমে অবশ্যই দেখে থাকবেন। এছাড়াও এই করোনার ভয়াবহ আবহে দুঃস্থ মানুষের কাছে চাল ডাল পৌঁছে দিয়েছেন আমাদের দলের নেতারা। যারা বলেছিলেন আমরা ২০০ রও বেশী আসন নিয়ে বাংলায় ক্ষমতায় আসবে তারা এখন হেরে গিয়ে কুৎসা প্রচার করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কে বদনাম করতে চাইছেন, পশ্চিমবঙ্গ কে বদনাম করতে চাইছেন। এই পরিস্থিতি কোনমতে বাংলার মানুষ মেনে নেবেন না।
আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামে ভোটের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পিছিয়ে গেলো শুনানি।
দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে অনেক কিছু বলা হচ্ছে, আমাদের দলে যারা অন্য দল থেকে এসে যোগ দিয়েছেন তাদেরকে আমরা কখনই আমাদের দলে যোগদান করার জন্য আমন্ত্রণ জানাইনি। যারা আমাদের দলে এসেছেন তাঁরা স্বেচ্ছায় এসেছেন। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে দেখা গিয়েছে অন্য দলের বিধায়কদের হেরে যাওয়ার পর বিজেপি ঘোড়ার মতো কেনাবেচা করেছে।”