
নিজস্ব প্রতিবেদন: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর পর তিনি তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তার কাঁধে সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূলকে পৌঁছে দেওয়ার গুরুদায়িত্ব ভার অর্পণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ত্রিপুরার মাটিতে তৃণমূলের জয়ধ্বজা আগামী ২০২৩ এ উড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর অভিষেক।
ত্রিপুরা গিয়ে তিনি বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হামলার মুখে পড়েছেন। এছাড়াও ত্রিপুরায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলার যুব তৃণমূল নেতাদের ছাড়াতে তিনি সোজা ত্রিপুরা পৌঁছে খোয়াই থানায় পুলিশ আধিকারিক দের সাথে বচসা জুড়ে দিয়েছিলেন।গতকাল বিকালেই দিল্লি রওনা হয়ে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সংসদের বাদল অধিবেশনে যোগদান করার আগে সংসদ ভবনে তৃণমূলের সাংসদদের নিয়ে একটি বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন-ত্রিপুরার ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে আগামী সেপ্টেম্বরে ত্রিপুরা যাচ্ছেন নাড্ডা
এই বৈঠকে কৃষি আইন, পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পেগাসাস ইস্যু বিভিন্ন বিষয়ে বিজেপি সরকারের উপর কিভাবে চাপ সৃষ্টি করা যায় সেই রণকৌশল নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন সাংসদদের।এর আগেও দিল্লি গিয়ে দলীয় সাংসদদের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে লিখিত প্রশ্ন রেখেছিলেন অভিষেক। প্রথম থেকেই তিনি পেগাসাস ইস্যুতে সুর চড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন-লাইভ অনুষ্ঠানে মেজাজ হারিয়ে ‘ছোটোলোক’, ‘জানোয়ার’ বলে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ দেবাংশুর
এবার দিল্লিতে গিয়ে ত্রিপুরা ইস্যু নিয়েও তিনি সুর চড়াতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।আগামী ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নিজেদের রণকৌশল চূড়ান্ত করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কয়েকদিন আগেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী নেতাদের আহ্বান জানিয়েছেন বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার। তাই এই পরিস্থিতিতে অভিষেকের আবার দিল্লি যাওয়া যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।