
নিজস্ব প্রতিবেদন: দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লা। ব্রিটিশ আমলের সময় থেকেই এই ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠানটি দেশের নানান মূহুর্তের সাক্ষী থেকেছে। ব্রিটিশ রাজের হাজার হাজার স্মৃতিচিহ্ন বুকে নিয়ে রয়েছে এই লালকেল্লা। সিপাহী বিদ্রোহের নেতাদের এই লালকেল্লাতেই বিচার হয়েছিলো।
বহু ঐতিহাসিক ঘটনার পটভূমি এই লালকেল্লাকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে। সারা পৃথিবী আজ লালকেল্লার সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আর লালকেল্লাকে ঘিরে সমগ্র ভারতবাসীর একটা আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। আগামী ১৫ ই আগস্ট দিল্লির এই লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন-“৫০ কোটি মানুষ টীকা পেয়েছেন।”- টুইট করে বললেন প্রধানমন্ত্রী
কিন্তু বর্তমানে ভারতের রাজনৈতিক আবহ অনেকটাই অস্বাভাবিক হয়ে রয়েছে। কারণ দিল্লি সীমান্তে কৃষি বিলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত কৃষকরা আবার লালকেল্লায় বিক্ষোভ দেখানোর চিন্তা ভাবনা করছেন। প্রসঙ্গত গত বছরেই বিক্ষোভরত কৃষকরা লালকেল্লার পাঁচিল বেয়ে উঠে ভারতের জাতীয় পতাকা নামিয়ে তাদের কৃষক সংগঠনের পতাকা তুলে দিয়েছিলো, এই ঘটনায় সারা ভারত জুড়ে যথেষ্ট বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিলো।তাই এবারে কৃষি বিদ্রোহ এবং জঙ্গী নাশকতা রোধ করার জন্য জাহাজের কন্টেনার দিয়ে লালকেল্লার প্রাঙ্গণ পুরোপুরি ঘিরে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন-দুর্নীতিবাজদের সমূলে উৎপাটিত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে মোদী সরকার।
এই ব্যবস্থা অবলম্বন করা হচ্ছে যাতে লালকেল্লার প্রাঙ্গণে কোনরকম জমায়েত করা না সম্ভব হয়।গতকাল দেখা গিয়েছে সকালের দিকে জাহাজের কন্টেনার এনে হাজির করা হয়েছে লালকেল্লা প্রাঙ্গণে । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লালকেল্লা থেকেই আগামী স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেবেন। তাই নিরাপত্তার খাতিরে এই কন্টেনারগুলিকে লালকেল্লার প্রাঙ্গণে দুর্ভেদ্য দুর্গ রূপে সাজিয়ে রাখা হবে ।
তবে জানা গিয়েছে ওই কন্টেনারগুলিতে আলপনা দিয়ে অথবা সুদৃশ্য ছবি এঁকে স্বাধীনতা দিবসের আগেই সাজিয়ে তোলা হবে।