
নিজস্ব প্রতিবেদন: আগামী সাতটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের মাটিতে হেরে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। তাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরে রাখতে গেলে যে কোনো একটি কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে।
এদিকে নির্বাচন কমিশন আভাস দিয়েছে যে খুব শীঘ্রই রাজ্যের মাটিতে উপনির্বাচন সম্পন্ন হতে চলেছে।রাজ্য সরকারের বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রীরা কয়েক সপ্তাহ আগেই নির্বাচন কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন । তারা নির্বাচন কমিশনার কে অনুরোধ করেছিলেন যে যেহেতু রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে , তাই এক সপ্তাহ প্রচারের সময় দিয়ে উপ নির্বাচন সম্পন্ন করা যেতেই পারে।
আরও পড়ুন-“সিপিএম অনেক চেষ্টা করেও পারেনি”- ত্রিপুরার বিপ্লব দেব প্রশাসনকে কটাক্ষ ফিরহাদ হাকিমের
কিন্তু প্রথম থেকেই রাজ্য বিজেপি এই পরিস্থিতিতে উপ নির্বাচনের বিরোধিতা করে আসছে। বিজেপি প্রথম থেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে যে বাংলার এই করোনা পরিস্থিতিতে যদি নির্বাচন হয় তাহলে খুব শীঘ্রই রাজ্যের মাটিতে আছড়ে পড়তে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ।কিন্তু তৃণমূল সরকার উপনির্বাচন করানোর দাবিতে বদ্ধপরিকর।
আরও পড়ুন-খোয়াই থানায় ধরনা’র ঘটনায় অভিষেক সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করলো ত্রিপুরা পুলিশ
এই আবহের মধ্যে ভবানীপুর, গোসাবা, খড়দহ, শান্তিপুর, দিনহাটা সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে আগামী সেপ্টেম্বরের অন্তিম লগ্নে উপনির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার আভাস দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্য সরকার আগেই নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দিয়েছে যে যে সমস্ত কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন হতে চলেছে, সেই সমস্ত কেন্দ্রগুলিতে বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাই সেই সমস্ত কেন্দ্রগুলিতে উপ নির্বাচন করা যেতেই পারে।
জানা গেছে আগামী ১৫ ই আগস্টের পরেই উপনির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হতে পারে। ৫ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে এবং সামশেরগঞ্জ ,জঙ্গিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট সম্পন্ন হবে।