
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বাংলার মাটিতে বৃষ্টি হয়ে চলেছে। কলকাতা সহ বাংলার বিস্তীর্ণ জেলাগুলোতে গত দুইদিন ধরেই বৃষ্টি হয়ে চলেছে। গতকাল থেকেই টানা বৃষ্টিতে কলকাতার বহু জায়গা জলমগ্ন হয়েছে। কলকাতার পার্কস্ট্রিট থেকে শুরু করে ক্যামাক স্ট্রিট, আমহার্স্ট স্ট্রিট সহ অনেক জায়গাতেই ব্যাপক জল জমে গিয়েছে।
ঠনঠনিয়াতেও হাঁটু সমান জল জমা হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই কলকাতার জলনিকাশী ব্যবস্থা নিয়ে নাগরিকদের অভিযোগ বহুদিনের। এই আবহে টানা কয়েক ঘন্টার বৃষ্টিতে ব্যাপক জল জমেছে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায়। গতকাল কলকাতার বুকে রাত ১২ টার পর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন-কলকাতায় চালু হতে চলেছে রোপওয়ে এবং মনোরেল
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে যে, কলকাতা জুড়ে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এছাড়াও কলকাতার সায়েন্স সিটির এলাকা, পার্ক সার্কাস, যাদবপুর, বেহালার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।এছাড়াও জানা গিয়েছে দ্বারকেশ্বর নদীর জল স্তর বেড়ে আরামবাগের বেশ কিছু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।আজ সকাল সাতটা পর্যন্ত গঙ্গায় জোয়ার ছিলো।
যার দরুণ লকগেট বন্ধ থাকার দরুণ জল নিষ্কাশন হতে পারেনি। কলকাতার বড়ো অংশ জলমগ্ন হয়েছে। লকগেট খোলা হলেই জল তাড়াতাড়ি নেমে যাবে।ফিরহাদ হাকিম আজ জলমগ্ন এলাকাগুলির পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-বাঁকুড়ার মাটিতে কোভিড কেয়ার ইউনিট চালু করলেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেছেন,”অনেকের বাড়িতেই জল ঢুকে গিয়েছে। থানার ওসিকে পাঠিয়েছি স্কুল গুলো খুলে দেওয়ার জন্যে যাতে দূর্গতরা স্কুলে আপাতত থাকতে পারেন। যারা স্কুলে গিয়েছেন আশ্রয় নিতে তাদের পানীয় জল এবং শুকনো খাবারের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। প্রত্যেকটা লকগেট খুলে দিয়ে জল নিষ্কাশন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
গঙ্গায় যতটা জল নেমে যাওয়ার কথা ততটা না নামার দরুণ এখনো শহরের বেশ কিছু অংশে জল জমে রয়েছে। “