
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে হিংসাত্মক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে একাধিকবার টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এমনকি রাজ্যের এই হিংসাত্মক পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল যাতে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা যায়। রাজ্যের এই হিংসাত্মক পরিস্থিতির অভিযোগে রাজ্যপালের কাছে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছেন বিজেপির মোট ৫০ জন বিধায়ক। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে রাজ্যপালের সাথে দেখা করেছেন তারা।
রাজভবনের বারান্দায় বিধায়কদের সাথে কথা বলেছেন রাজ্যপাল। শুভেন্দু অধিকারীর সাথে বৈঠকের ২৪ ঘন্টা কাটার আগেই রাজ্যপাল গিয়েছেন দিল্লিতে। সেখানে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে দেখা করবেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এমনটাই স্থির ছিলো। এছাড়াও তিনি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথেও দেখা করতে পারেন বলে জানা গিয়েছিলো।
আরও পড়ুন-রাজ্য সভাপতির পদে দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন দেবশ্রী। দিলীপ ঘোষ আসীন হতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপদে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি তিনদিন থাকবেন দিল্লিতে। বেশ কিছু বৈঠক তিনি সম্পাদন করবেন দিল্লির বুকে। তারপর তিনি কলকাতা ফিরবেন আগামী ১৮ ই জুন।
এদিকে জানা গিয়েছে রাজ্যপালকে এখনও পর্যন্ত সময় দেননি অমিত শাহ । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সাথেও তাঁর সাক্ষাৎ হবে কি না সেই বিষয়টিও পুরোপুরি ধোঁয়াশা আবৃত। গতকাল দিল্লি পৌঁছে তিনি কার্যত সংবাদমাধ্যমের সাথে কোন রকম কথা বলেননি। তিনি শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর সাথে বৈঠক সম্পন্ন করেছেন।
আরও পড়ুন-“মিথ্যের ঝুড়ি নিয়ে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছেন জামাই।”- রাজ্যপালকে কটাক্ষ করলেন সায়নী ঘোষ
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে যে সমস্ত উদ্দেশ্যকে হাতিয়ার করে রাজ্যপাল দিল্লি গিয়েছেন সেই সমস্ত উদ্দেশ্য তার বাস্তবায়িত না হওয়ার সম্ভাবনাই অধিক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠক নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।