
নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খেলা হবে স্লোগানকে সারা রাজ্যের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন। এই স্লোগান রাজ্যের প্রায় প্রতিটি মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছিলো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পর্যুদস্ত হয়েছে বিজেপি। বাংলায় দিল্লি থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীরা বারবার যাতায়াত করেও কিছুতেই মুখ্যমন্ত্রীর আসন ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হয়নি।
নির্বাচনে জয়লাভের পরেই সারা দেশজুড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই খেলা হবে স্লোগান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আগামী ১৬ ই আগস্ট তৃণমূল কংগ্রেস সারা রাজ্য জুড়ে খেলা হবে দিবসের সূচনা করতে চলেছে। এবার পশ্চিমবঙ্গে এই খেলা হবে দিবস পালনের পাশাপাশি প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরাতেও খেলা হবে দিবস পালন করতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।এবার প্রধানমন্ত্রীর গড় গুজরাটেও খেলা হবে দিবস পালনের লক্ষ্যে অবিচল রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
এর জন্য একটি ট্রফিও প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছিলেন যে এবার তৃণমূলের কর্মকান্ড পৌঁছে দেওয়া হবে রাজ্যের বাইরেও। তাই এবার ত্রিপুরার পাশাপাশি গুজরাটেও খেলা হবে দিবসের সূচনা করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী।এছাড়াও এবার উত্তরপ্রদেশের মাটিতেও এই খেলা হবে দিবস পালন করার কর্মসূচি সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর তৃণমূল কংগ্রেস।
যোগীরাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূলের কয়েকটি পার্টি অফিস খোলা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মাটি থেকে এক তৃণমূল নেতা ঘোষণা করেছেন যে উত্তরপ্রদেশের মাটিতে আগামী ১৬ ই আগস্ট খেলা হবে দিবস পালিত হবে। করোনা বিধি মেনে ওইদিন যোগীরাজ্যে একটি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হতে পারে, তবে এই ফুটবল ম্যাচ সম্পন্ন হওয়ার জন্য উত্তর প্রদেশ প্রশাসন অনুমতি দেবে কিনা সেই ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয় তৃণমূল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন-বিশ্ব শান্তি বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়ে যথেষ্ট আপ্লুত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে উত্তরপ্রদেশের ওই তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন যে এখনো পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে আবেদন পত্র পাঠানো হলেও আবেদনপত্রের কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরপ্রদেশের মাটিতে তৃণমূলের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন ।