নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ৩১ শে মে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লিতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। এই নির্দেশকে কেন্দ্র করে ব্যাপক দ্বৈরথ সৃষ্টি হয়েছিলো রাজ্য এবং কেন্দ্রের মধ্যে। কিন্তু আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রিটায়ার নিয়েছেন এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য উপদেষ্টা হিসাবে নিযুক্ত হয়েছেন। করোনার এই আবহে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদলি করার চেষ্টা করে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে কেন্দ্রীয় সরকার এমনটাই অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
এর পরেই মুখ্যসচিব পদ থেকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে অবসর দিয়ে সরিয়ে আগামী ৩ বছর মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে তাঁকে নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইয়াস পরবর্তী পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে কেন উপস্থিত হননি রাজ্যের তৎকালীন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় তার জবাব জানতে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ৫১ বি’র আওতায় শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
আরও পড়ুন-“আলাপন বাঙালি , কিন্তু দময়ন্তী সেন কি বহিরাগত ছিলেন?”- মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্নবান সোশ্যাল মিডিয়ায়
এই নোটিশে বলা হয়েছে যে মুখ্যমন্ত্রী সাথে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বৈঠকে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে আবার তৎক্ষনাৎ বেরিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি কেন এই বৈঠকে উপস্থিত হননি তার জবাব চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যেই এই নোটিশের জবাব তলব করা হয়েছে।আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এই শোকজ নোটিশের জবাব দিতে চলেছেন। তিনি এই চিঠির উত্তরে লিখতে চলেছেন যে, “দীঘায় এই বৈঠকে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতোই গিয়েছিলেন। কলাইকুন্ডার বৈঠক ছেড়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন। যেহেতু তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব ছিলেন তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে চলা তার কর্তব্যের মধ্যে পড়েছিলো।”