
নিজস্ব প্রতিবেদন: ত্রিপুরার মাটিতে যথেষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গত শনিবার আক্রান্ত হয়েছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্ত সহ তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। ত্রিপুরার মাটিতে তাঁরা বিজেপি কর্মী সমর্থকদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন।এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছেন যে আগামী ২০২৩ ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার মাটিতে লড়াই করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
সেই লক্ষ্যে তৃণমূলের নেতারা ত্রিপুরার মাটিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই দেবাংশু দের উপরে হামলা হয়। তারপরে এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে দেবাংশু ভট্টাচার্য রা বিক্ষোভ দেখালে দেবাংশু, সুদীপ, জয়া সহ মোট ১৪ জনকে গ্রেফতার করে খোয়াই থানা পুলিশ। তারপরে তাদের চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তোলা হয় সেখানে তারা ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান ।
আরও পড়ুন-আক্রান্ত তৃণমূল নেতাদের নিয়ে কলকাতা প্রত্যাবর্তন করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
আহত তৃণমূল নেতা নেত্রীদের নিয়ে কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতায় এসে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয় দেবাংশু, জয়া এবং সুদীপ দের । দেবাংশুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।এদিকে এই ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ এসএসকেএম হাসপাতালে আহত সুদীহ , জয়া দের দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে তিনি সরাসরি ত্রিপুরার ঘটনার দায়ভার চাপিয়ে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপর। তিনি বলেছেন যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অঙ্গুলিহেলনে বিপ্লব দেব সরকার এই কান্ড ঘটিয়েছে।গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় খোয়াই থানা থেকে বেরিয়ে বলেছিলেন , “আপনাদের চোখের সামনেই সমস্ত ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন-ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে রাখুন।”- দলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ
আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে, পাথর মারা হয়েছে, আমাদেরকে আক্রমণ করা হয়েছে আবার আমাদেরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একথা থেকে এটা প্রমাণিত যে ত্রিপুরায় কোন গণতন্ত্র নেই।”এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেছেন, “ত্রিপুরায় এই কান্ডের বিক্ষোভ পৌঁছাতে চলেছে দিল্লির সংসদে। সংসদে সমস্ত কিছু আমরা জানাবো।
আজ গান্ধী মূর্তির পাদদেশে আমরা ধর্নায় বসবো।”