নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটে বাংলার মাটিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অশ্বমেধ যজ্ঞের ঘোড়া একাই রুখে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই সারা রাজ্যের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ট্রেন্ডিং হয়ে উঠছে, ‘বাঙালি প্রধানমন্ত্রী চাই।’ নেটিজেনরা হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করে বারবার দাবি করছেন এবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে অনেকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান।
দেশের বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা প্রধানমন্ত্রী পদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে যথেষ্ট উপযুক্ত বলে মনে করছেন।আজ তৃণমূল ভবনে সাংগঠনিক বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানা গিয়েছে ওই বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন জেলা সভাপতি, সাংসদ, পুর প্রশাসক এবং বিধায়করা । করোনা পরিস্থিতির জন্য দূরবর্তী জেলার প্রতিনিধিদের ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এই বৈঠকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-আজ তৃণমূল ভবনে সাংগঠনিক বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তার মধ্যে অন্যতম হল যুব তৃণমূলের সভাপতি পদ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফা। জানা গিয়েছে এবার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদে আসীন হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর জায়গায় যুব তৃণমূলের সভাপতি পদে আসীন হতে চলেছেন তৃণমূলের আসানসোলের তারকা প্রার্থী সায়নী ঘোষ। এই বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন-“অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের পুনর্নিয়োগের বাধ্যতামূলক হবে ভিজিল্যান্সের ছাড়পত্র।”- জারি হল নির্দেশিকা।
অনেকদিন থেকেই জল্পনা হচ্ছিলো যে অভিষেককে এবারে আরো গুরুদ্বায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। আজ তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির মেগা বৈঠকে নানান সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে চলেছে। তৃণমূলের বর্তমানে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি গৃহীত হয়েছে। আগামী একমাসের মধ্যে আরো নানান রদবদল হবে তৃণমূল সংগঠনের মধ্যে। এখন আপাতত সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই।